Download
the bengali
font
 
   আমাদের বিষয়ে     জরুরী তথ্যাবলী     সাধারণ প্রশ্নাবলী     আর্থিক শিক্ষা     অভিযোগ   অন্যান্য সূত্রগুলি 
 ব্যাংক ব্যবস্থা
 মুদ্রা ব্যবস্থা
 বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থা
 সরকারী অর্থপত্রের বাজার
 ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি
 পাওনা মেটানোর ব্যবস্থা
হোম >> সাধারণ প্রশ্নাবলী - View
Date: 17/06/2005

ইলেকট্রনিক ফাণ্ড ট্রান্সফার সিস্টেম - ই-এফ-টি (বৈদ্যুতিন অর্থ বিনিময় ব্যবস্থা) বিষয়ে সাধারণ প্রশ্নাবলী

ইলেকট্রনিক ফাণ্ড ট্রান্সফার সিস্টেম - ই-এফ-টি (বৈদ্যুতিন অর্থ বিনিময় ব্যবস্থা) বিষয়ে সাধারণ প্রশ্নাবলী

১। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের ই-এফ-টি ব্যবস্থা কি ?

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের ই-এফ-টি, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক দ্বারা সৃষ্ট এমন একটি ব্যবস্থা যার দ্বারা ব্যাংকগুলি তাদের গ্রাহকদের, যেখানে ই-এফ-টি সুবিধা পাওয়া যায়, একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে, ব্যাংকের এক শাখা থেকে অন্য এক শাখায়, বৈদ্যুতিন মাধ্যমে অর্থ বিনিমযের সুবিধা দেয়।

২। কতগুলি ব্যাংকের শাখায় ও কেন্দ্রে এই ই-এফ-টি সুবিধা পাওয়া যায় ?

বর্তমানে ই-এফ-টি সুবিধা ২৭টি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংক ও ৫৫টি তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের সব শাখায় পাওয়া যায় ভারতের ১৫টি কেন্দ্রে (অর্থাত্‍ আমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালোর, ভুবনেশ্বর, কলকাতা, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, গুয়াহাটি, হায়দ্রাবাদ, জয়পুর, কানপুর মুম্বাই, নাগপুর, নতুন দিল্লী, পাটনা, তিরুভনন্তপুরম)। এই ১৫টি কেন্দ্রে একটি শহরের ভিতরে ও বিভিন্ন শহরের ভিতরে উপরোক্ত যে কোনো  ব্যাংকের যে কোনো শাখা থেকে অন্য যে কোনো ব্যাংকের যে কোনো শাখায় অর্থ বিনিময় করা যায়।

৩। প্রাপক কত দিনের মধ্যে অর্থ পাবেন ?

/২ দিনে প্রাপকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ে যাবে।

৪।  কীভাবে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের ই-এফ-টি ব্যবস্থা কাজ করে ?

ধাপ-১: অর্থ প্রেরককে একটি ই-এফ-টি আবেদনপত্র পূরণ করবেন প্রাপকের সব তথ্য দিয়ে (শহর, ব্যাংক, শাখা, প্রাপকের নাম, অ্যাকাউন্টের ধরন ও অ্যাকাউন্টের নম্বর) এবং তাঁর ব্যাংককে অনুমতি দেবেন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ কেটে নিয়ে তা প্রাপককো পাঠিয়ে দিতে।

ধাপ-২: প্রেরকের ব্যাংকের শাখা একটি নির্দিষ্ট পত্র (শিডিউল) পূরণ করে ই-এফ-টি আবেদনপত্রের ডুপ্লিকেট কপি তাদের সার্ভিস শাখায় পাঠিয়ে দেয় যেখানে ই-এফ-টি-র প্রয়োজনীয় তথ্য তৈরা করা হয়। যদি সেই শাখাটি কম্পিউটার সুবিধাযুক্ত হয় তবে ই-এফ-টি তথ্য সেই শাখাতে নির্দিষ্ট বয়ানে তৈরী করা যায়।

ধাপ-৩: সেই ব্যাংকটির সার্ভিস শাখা ই-এফ-টি-র তথ্য ফাইল তৈরী করে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক দ্বারা প্রদত্ত সফটওয়ার প্যাকেজের সাহায্যে এবং সেটিকে সফটওয়ারের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয় স্থানীয় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (ন্যাশানাল ক্লিয়ারিং সেল - জাতীয় বিনিময় বিভাগ)-এ যাতে সেটি দুপুর ১২টা, ২টা ও বিকাল ৪টা-এর পাওনা মেটানোর প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

ধাপ-৪: ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক সব ব্যাংকের প্রাপ্ত ফাইলগুলিকে একত্র করে, সেগুলি সহর অনুযায়ী সাজায় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের উপর খরচের পরচা তৈরী করে সেই দিনই। শহর অনুযায়ী ফাইলগুলি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ও কার্যালয়ে এরপর পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

ধাপ-৫: সংশ্লিষ্ট ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক উত্‍স শহরের রিজার্ভ ব্যাংকের ফাইলগুলি পেয়ে সেগুলিকে একত্র করে ও তাদেরকে ব্যাংক অনুয়াযী সজায়। এরপর সেই দিনই রিজার্ভ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলিকে তাদের অর্থ প্ররণের তথ্য ফাইলগুলি পাঠিয়ে দেয়। এরপর প্রাপক ব্যাংক অনুযায়ী জমার পরচা তৈরী করে সেই দিন অথবা তার পরের দিন দেওয়া হয়।

ধাপ-৬: সেই দিন অথবা তার পরের দিন প্রাপক ব্যাংক ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক দ্বারা প্রেরিত অর্থ প্রেরণের ফাইল দেখে তাদের সংশ্লিষ্ট শাখায় অর্থ প্রাপকের অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা দেওয়ার জন্য জমার প্রতিবেদন পাঠায়।

৫। বর্তমান ব্যাবস্থার চেয়ে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের এই ই-এফ-টি ব্যাবস্থা কীভাবে উন্নত ?

বর্তমানে অর্থ বিনিময় ব্যবস্থা বলতে আমরা বুঝি, ডিমান্ড ড্রাফ্ট, মেল ট্রান্সফার ও টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার। ডিমান্ড ড্রাফ্ট কাগজ আধারিত ব্যবস্থা। অর্থ প্রেরক কোনো ব্যাংকের শাখা থেকে ডিমান্ড ড্রাফ্ট কিনে অর্থ প্রাপককে ডাক/কুরিয়ার মারফত পাঠিয়ে দেন। এরপর অর্থ প্রাপক সেই ডিমান্ড ড্রাফ্ট তাঁর ব্যাংকে জমা দেন বিনিময় ও অর্থ জমার জন্য। এই পুরো প্রক্রিয়াটিতে আনুমানিক ১০ দিন লাগে। টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে অর্থ প্রাপকের কাছে পৌঁছায় সেই দিন অথবা তার পরে দিন। কিন্তু এই ক্ষেত্রে অর্থ প্রাপক ও প্রেরককে একই ব্যাংকের অ্যাকাউন্টধারী হতে হবে; কিন্তু তাঁরা যদি আলাদা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টধারী হন তবে অনেক কাগজ চালাচালির প্রয়োজন হবে। এর তুলনায় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের ই-এফ-টি একটি আন্তঃ-ব্যাংক ব্যবস্থা। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক অর্থ প্রেরক ও অর্থ প্রাপক ব্যাংকের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করে ও এই অর্থ বিনিময় ঘটায়। গ্রাহকেরা  তাদের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখাকে বলতে পারে অর্থ প্রাপক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে, সেই প্রাপকের অ্যাকাউন্ট যে কোনো ব্যাংকের যে কোন শাখায় থাকুক না কেন।

৬। অ্যাকাউন্টে ব্যক্তিগত লেনদেনের কি কোনো মূল্য-সীমা আছে ?

অ্যাকাউন্টে ব্যক্তিগত লেনদেনের কোনো মূল্য-সীমা নেই।

৭। স্বীকৃতি জ্ঞাপনের পদ্ধতি কী ? কীভাবে ব্যাংকের প্রেরক শাখা জানতে পারবে যে অর্থ প্রাপকের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ?

প্রাপক ব্যাংকের শাখা প্রাপকের অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা হওয়ার পর যে সব লেনদেন হয় সেই সবগুলির স্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। স্বীকৃতি জ্ঞাপন নির্দিষ্ট প্রেরক ব্যাংকের শাখায় পৌঁছায় ই-এফ-টি প্রক্রিয়ার তৃতীয় দিনে একটি আভ্যন্তরীণ বার্তা হিসাবে। তাই, প্রেরক ব্যাংকের কাছে নির্দিষ্ট তথ্য থাকবে কখন প্রাপকের অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা হয়েছিল।

৮। এই ব্যবস্থার জন্য কি সব ব্যাংকের শাখাকে কম্পিউটার পরিচালিত হতে হবে ?

না। এই ব্যবস্থার জন্য সব ব্যাংকের শাখাকে কম্পিউটার পরিচালিত হতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। ব্যাংকের শাখাগুলি জমার বিশদ তথ্য তাদের সার্ভিস শাখাগুলিকে পাঠাতে পারে কাগজে নির্দিষ্ট বয়ানে (গ্রাহক দ্বারা জমা দেওয়া ই-এফ-টি আবেদনপত্রের এক কপি ও তার সঙ্গে থাকবে একটি অর্থ প্রেরণের পরচা অথবা রেমিটেন্স স্ক্রোল)। সার্ভিস শাখা প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে বৈদ্যুতিন উপায়ে তা স্থানীয় জাতীয় বিনিময় বিভাগ (ন্যাশানাল ক্লিয়ারিং সেল - এন-সি-সি)-এ পাঠিয়ে দেবে। কিন্তু কোনো শাখা যদি কম্পিউটার পরিচালিত হয় তবে সেটি সরাসরি অর্থ প্ররণের তথ্য তাদের সার্ভিস শাখায় পাঠিয়ে দিতে পারে ফ্লপি ডিস্ক অথবা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বৈদ্যুতিনভাবে। এর মাধ্যমে সার্ভিস শাখার তথ্য় পূরণের কাজ অনেকটাই কমে যায়।     

 ৯। এই ব্যবস্থার জন্য ব্যাংকগুলিকে কোন ধরনের অতিরিক্ত সাংগঠনিক পরিকাঠামো তৈরী করতে হবে ?

এই ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি ব্যাংককে প্রতিটি কেন্দ্রে একটি শাখা চিহ্নিত করতে হবে যেটি যোগাযোগের সূত্র হিসাবে কাজ করবে তাদের সব বার্তা প্রেরণ ও গ্রহণ করতে। ব্যাংকের সার্ভিস/মেন শাখা যাঁরা চেক বিনিময় ব্যবস্থার সমন্বয়ের কাজের সঙ্গ যুক্ত আছেন তাঁরা এই কাজের জন্য সর্বাধিক উপযুক্ত। তাই কোনো অতিরিক্ত সাংগঠনিক পরিকাঠামো না গঠন করলেও চলবে।

১০। এটিতে কতটি প্রক্রিয়া শুল্ক /পরিষেবা শুল্ক লাগে ?

যদিও ভরতীয় রিজার্ভ ব্যাংক ৩১শে মার্চ ২০০৭ অবধি এই ব্যবস্থার উপর সবরকম প্রক্রিয়া শুল্ক মুকুব করেছেন, ব্যাংকগুলি কিন্তু তাদের প্রয়োজনমত পরিষেবা শুল্ক নিতে পারে, যদিও পরিষেবা শুল্কের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলির ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।   

১১। কীভাবে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের ই-এফ-টি ব্যবস্থা ব্যাংকগুলিকে সুবিধা প্রাদান করে ?

  • ব্যাংকগুলি এখন আন্তঃ-ব্যাংক টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার পরিষেবা দিতে পারবে।
  • হিসাব-মেলানো স্বয়ংক্রিয়ভাবে হতে পারে।
  • ব্যাংকগুলি ই-এফ-টি ব্যাবস্থার উপর ভিত্তি করে তাদের গ্রাহকদের নতুন অর্থ বিনিময়/নগজ পরিচালনার সুবিধা দিতে পারবে।

গ্রাহকদের দ্বারা ভিন্ন স্থানের চেক দেওয়া এবং ব্যাংকগুলির উপর সংশ্লিষ্ট পরিষেবার চাপও ধীরে ধীরে কমে যাবে।

 

 
  © ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক দ্বারা সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত

1024 x 768 রেজ়োলিউশনে IE5 বা তার চেয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্রাউজ়ার সফটওয়ার দিয়ে সবচেয়ে থেকে ভাল দেখা যাবে।