Download
the bengali
font
 
   আমাদের বিষয়ে     জরুরী তথ্যাবলী     সাধারণ প্রশ্নাবলী     আর্থিক শিক্ষা     অভিযোগ   অন্যান্য সূত্রগুলি 
 ব্যাংক ব্যবস্থা
 মুদ্রা ব্যবস্থা
 বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থা
 সরকারী অর্থপত্রের বাজার
 ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি
 পাওনা মেটানোর ব্যবস্থা
হোম >> সাধারণ প্রশ্নাবলী - View
Date: 03/06/2013

এনবিএফসি সম্বন্ধে আপনি যা কিছু জানতে চান

ক। সংজ্ঞা

১. নন্‌ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানি কী?

নন্‌ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানি (এনবিএফসি) হল এমন একটি কোম্পানি যেটি ১) কোম্পানি আইন, ১৯৫৬-এর অধীনে পঞ্জীকৃত, ২) এর প্রধান ব্যবসা হল ঋণদান, বিভিন্ন ধরনের শেয়ার/স্টক/বন্ড/ডিবেঞ্চার/সিকিউরিটি-তে বিনিয়োগ করা, ইজারা দেওয়া, কিস্তিবন্দিতে ক্রয় করা, বিমা ব্যবসা, চিট ব্যবসা করা, এবং ৩) এর প্রধান ব্যবসা হল যে কোন প্রকল্প বা বন্দোবস্তের অধীনে এক লপ্তে অথবা কিস্তিতে আমানত গ্রহণ করা। তবে, কোন নন্‌ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানির আওতায় কোন এমন সংস্থা থাকবে না যাদের মূল ব্যবসা কৃষিজাত,

শিল্প-সংশ্লিষ্ট, বাণিজ্যিক কাজকর্ম অথবা স্থাবর সম্পত্তির বিক্রি/ক্রয়/নির্মাণ। (আরবিআই আইন, ১৯৩৪-এর ধারা ৪৫(১)সি)। ৪৫(১)সি ধারা অনুযায়ী একটি প্রধান দিক যা মাথায় রাখতে হবে তা হল ঋণ/অগ্রিম সংক্রান্ত আর্থিক কাজকর্ম নিজের ছাড়া অন্যদের জন্য হবে। এই ধারা ব্যতিরকেকে, সব কোম্পানিই এনবিএফসি হতঁ।

২. প্রণালীগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এনবিএফসি কারা?

যে সমস্ত এনবিএফসিগুলির শেষ নিরীক্ষিত ব্যালান্স সিট অনুযায়ী সম্পদের পরিমাণ ১০০ কোটি অথবা তার বেশি তাদের প্রণালীগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এনবিএফসি বলা হয়ে থাকে। এই ধরনের শ্রেণীবিভাগ করার পিছনে যুক্তি হল এই ধরনের এনবিএফসিগুলির কাজকর্ম আমাদের দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

খ. আরবিআই কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত সংস্থাসমূহ

৩. রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কি সমস্ত আর্থিক সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রিত করে?

না। আইনগতভাবে কিছু আর্থিক ব্যবসার জন্য, কিছু নির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রক আছে, তাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা ও তাদের তত্ত্বাবধানের জন্য, যেমন বিমা কোম্পানিগুলির জন্য আইআরডিএ, মার্চেন্ট ব্যাঙ্কিং কোম্পানি, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি, স্টক ব্রোকিং কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের জন্য সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া(সেবি), আবাসন আর্থিক কোম্পানির জন্য ন্যাশানল হাউসিং ব্যাঙ্ক(এনএইচবি), নিধি কোম্পানিগুলির জন্য ডিপার্টমেন্ট অফ কোম্পানিজ এ্যাফেয়ার্স(ডিসিএ) এবং চিট ফান্ড কোম্পানিগুলির জন্য রাজ্য সরকারগুলি। আর্থিক ব্যবসায় যুক্ত যে সমস্ত সংস্থা অন্যান্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত, তাদের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিজের নিয়ন্ত্রণমূলক বিবিধ আবশ্যিক শর্তাবলি থেকে ছাড় দিয়ে থাকে, যেমন নিবন্ধীকরণ, নগদ সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ, বিধিবদ্ধ তহবিল সংরক্ষণ(স্ট্যাটুইটারি রিজার্ভ) ইত্যাদি। নীচের চার্টে কাজকর্মের প্রকৃতি এবং সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রকের তালিকা দেওয়া আছে।

৪. কোন ধরনের বিশেষ আর্থিক সংস্থাসমূহ আরবিআই কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত?

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সেই সমস্ত নন্‌ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানিগুলির নিয়ন্ত্রণ এবং তত্ত্বাবধান করে যারা (১) ঋণদান (২) শেয়ার, স্টক, বন্ড ইত্যাদি আহরণ অথবা (৩) আর্থিক ইজারা অথবা কিস্তিবন্দি ক্রয়-এর ব্যবসা করে থাকে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সেই সমস্ত কোম্পানিগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে যাদের প্রধান ব্যবসা আমানত গ্রহণ করা।(আরবিআই আইন, ১৯৩৪-এর ধারা ৪৫(১)সি)।
৪৫(১)সি ধারা অনুযায়ী একটি প্রধান দিক যা মাথায় রাখতে হবে তা হল ঋণ/অগ্রিম সংক্রান্ত আর্থিক কাজকর্ম নিজের ছাড়া অন্যদের জন্য হবে। এই ধারা ব্যতিরেকে সব কোম্পানিই এনবিএফসি হত।

৫. সেই সমস্ত নন্‌ব্যাঙ্কিং আর্থিক কোম্পানি, প্রধান ব্যবসার ৫০-৫০ মাপকাঠি যারা পূরণ করে থাকে, তাদের সম্পর্কে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ক্ষমতা কী?

আরবিআই আইন, ১৯৩৪-এর অধীনে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যে সমস্ত এনবিএফসি প্রধান ব্যবসার ৫০-৫০ মাপকাঠি পূরণ করে তাদের নিবন্ধিত করা, নীতি প্রণয়ন করা, নির্দেশ দেওয়া, পরিদর্শন, নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধান করা এবং তাদের ওপর নজরদারি রাখা। আরবিআই আইনে প্রদত্ত বিধি ভঙ্গের জন্য অথবা আরবিআই আইন-এর অধীনে আরবিআই কর্তৃক জারি করা আদেশ বা নির্দেশ অমান্য করার জন্য কোন এনবিএফসি-কে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দণ্ড প্রদান করতে পারে। এই দণ্ড প্রদানের ফলস্বরূপ আরবিআই সেই এনবিএফসি-কে জারি করা পঞ্জীকরণের প্রমাণপত্র বাতিল করতে পারে, তাদের আমানত গ্রহণ করা নিষিদ্ধ করতে পারে এবং তাদের

সম্পদ বিচ্ছিন্ন করতে পারে বা কোম্পানি গুটিয়ে ফেলার উদ্দেশ্যে মোকদ্দমা করতে পারে।

গ. আরবিআই কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত নয় যে সমস্ত সংস্থা

৬. কেন বিমা সংস্থা, স্টক ব্রোকিং এবং মার্চেন্ট ব্যঙ্কিং কোম্পানি, নিধি, হাউসিং ফিনান্স কোম্পানি এবং চিট ফান্ড ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত নয়?

যেহেতু এই কোম্পানিগুলি আর্থিক ক্ষেত্রের অন্যান্য নিয়ন্ত্রকসমূহ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত সেই জন্য দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ এড়ানোর জন্য এই কোম্পানিগুলিকে নিবন্ধীকরণ এবং আরবিআই-এর অন্যান্য নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

৭. এই ছাড়প্রাপ্ত এনবিএফসি বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কি বিধিবদ্ধ কোন ক্ষমতা আছে?

এটি নির্ভর করে কতখানি ছাড় তাদের দেওয়া হয়েছে তার ওপর। উদাহরণস্বরূপ, হাউসিং ফিনান্স কোম্পানি আরবআই-এর নিয়ন্ত্রণ থেকে ছাড়প্রাপ্ত। অন্যান্য সংস্থা যেমন চিট ফান্ড, নিধি কোম্পানি, মিউচুয়াল বেনেফিট কোম্পানি, বিমা কোম্পানি, মার্চেন্ট ব্যাঙ্কিং কোম্পানি, স্টক ব্রোকিং কোম্পানি ইত্যাদিদের নিবন্ধীকরণ, তরল সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিধিবদ্ধ সংরক্ষিত তহবিল(স্ট্যাটুইটারি রিজার্ভ) রাখার আবশ্যিক শর্ত থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আরবিআই এমন নির্দেশ জারি করে না যা অন্যান্য আর্থিক নিয়ন্ত্রক কর্তৃক জারি করা নির্দেশের বিরুদ্ধে যেতে পারে। দৃষ্টান্তস্বরূপ, হাউসিং ফিনান্স কোম্পানি, ন্যাশানল হাউসিং ব্যাঙ্ক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত, বিমা সংস্থাগুলি আইআরডিএ দ্বারা, স্টক ব্রোক্রিং, মার্চেন্ট ব্যাঙ্কিং কোম্পানি, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি এবং যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্প ও মিউচুয়াল ফান্ড চালায় যে সমস্ত কোম্পানি তারা সেবি কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত, নিধি কোম্পানিগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক এবং চিট ফান্ড সংস্থাগুলি পড়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণমূলক এক্তিয়ারের অধীনে।

৮. ব্যবসার একটা অঙ্গ হিসেবে যে কোম্পানিগুলি আর্থিক কাজকর্ম চালায় তাদের কি আরবিআই নিয়ন্ত্রণ করে?

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সেই সমস্ত কোম্পানিদের নিয়ন্ত্রণ এবং তত্ত্বাবধান করে যারা তাদের প্রধান ব্যবসা হিসেবে আর্থিক কাজকর্ম করে থাকে। অতএব যদি এমন কোম্পানি থাকে যারা কৃষিজাত কাজ, শিল্প সংশ্লিষ্ট কাজকর্ম, পণ্য ক্রয় ও বিক্রয়, পরিষেবা প্রদান অথবা স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়, বিক্রয় বা নির্মাণ ইত্যাদি প্রধান ব্যবসা হিসেবে করে এবং কিছু আর্থিক ব্যবসা ক্ষুদ্র স্তরে করে, তাদের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করবে না।

৯. সেই সব কোম্পানি যারা ৫০-৫০ মাপকাঠি পূরণ করছে না অথচ আমানত গ্রহণ করছে – তারা কি আরবিআই-এর এক্তিয়ারের মধ্যে আসে?

একটি কোম্পানি যার আর্থিক সম্পদ, সামগ্রিক সম্পদের ৫০% এর বেশি নয় এবং তার মোট আয়ের অন্তত ৫০% এই ধরনের সম্পদ থেকে উৎপন্ন হয় না, সেটি এনবিএফসি নয়। এদের প্রধান ব্যবসা আর্থিক কাজকর্ম নয়, যেমন কৃষিজাত কাজকর্ম, শিল্প সংশ্লিষ্ট কাজকর্ম, পণ্য ক্রয় অথবা বিক্রয় অথবা স্থাবর সম্পত্তির ক্রয়/নির্মাণ এবং এগুলি নন্‌ব্যাঙ্কিং নন্‌ফিনান্সিয়াল কোম্পানি।
নন্‌ব্যাঙ্কিং নন্‌ফিনান্সিয়াল কোম্পানি কর্তৃক আমানত গ্রহণ কোম্পানি গৃহীত আমানত বিধি, ১৯৭৫ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই প্রকল্পগুলি রাজ্য সরকারের কোম্পানির রেজিস্ট্রার পরিচালন করে।

ঘ. প্রধান ব্যবসা মাপকাঠি (পিবিসি)

১০. “প্রধান ব্যবসা” হিসেবে আর্থিক কাজকর্ম চালানোর মানে কী?

আর্থিক কাজকর্মকে প্রধান ব্যবসা বলা চলে যখন কোন কোম্পানির আর্থিক সম্পদ তার সামগ্রিক সম্পদের ৫০%-এর বেশি এবং তার আর্থিক সম্পদ থেকে আয় মোট আয়ের ৫০%-এর বেশি। যে কোম্পানি এই দুটি মাপকাঠি পূরণ করবে তাদের আরবিআই কর্তৃক এনবিএফসি হিসেবে পঞ্জীকৃত করা যাবে। “প্রধান ব্যবসা” শব্দটি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আইন কর্তৃক সংজ্ঞায়িত নয়। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এভাবে ব্যাখ্যা করেছে এটি সুনিশ্চিত করার জন্য যাতে যে সমস্ত কোম্পানি মূলত আর্থিক কাজকর্মে লিপ্ত তারাই যেন তার কাছে নিবন্ধিত হয় এবং তাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং তাদের নজরদারিতে থাকে এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক, উৎপাদনকারী অথবা শিল্প সংস্থাগুলিকে যাতে তাদের নিয়ন্ত্রণ-পরিধির মধ্যে না আনা হয়। মজার ব্যাপার হল, এই পরীক্ষা ৫০-৫০ পরীক্ষা হিসেবে সুপরিচিত এবং এটি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে একটি কোম্পানি আর্থিক ব্যবসায়ে নিযুক্ত কিনা জানার জন্য।

ঙ. রেসিডুয়ারি নন্‌ব্যাঙ্কিং কোম্পানিজ(আরএনবিসি)

১১. রেসিডুয়ারি নন্‌ব্যাঙ্কিং কোম্পানিজ(আরএনবিসি)কী? কীভাবে অন্যান্য এনবিএফসি থেকে এটি ভিন্ন?

রেসিডুয়ারি নন্‌ব্যাঙ্কিং কোম্পানি হল এনবিএফসি’র একটি শ্রেণী যাদের ‘প্রধান ব্যবসা’ যে কোন প্রকল্প বা বন্দোবস্তের অধীন অথবা অন্য কোন পদ্ধতিতে আমানত গ্রহণ করা। এই কোম্পানিগুলি বিনিয়োগ করা, সম্পদ জোগান দেওয়া বা ঋণদান ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত নয়। এই কোম্পানিগুলির কাজকর্ম এনবিএফসি থেকে ভিন্ন, আমানত সংগ্রহের পদ্ধতির ক্ষেত্রে এবং আমানতকারীর অর্থ বিনিয়োগ সংক্রান্ত আবশ্যিক শর্তের দিক থেকে। যাই হোক, এই কোম্পানিগুলিকে এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নির্দেশ দিয়েছে আর আমানত না গ্রহণ করতে এবং আরএনবিসি হিসেবে ব্যবসা বন্ধ করতে।

১২. আমরা জানি যে আরএনবিসিগুলি কত আমানত তুলবে তার ওপর কোন সীমা বেঁধে দেওয়া নেই, তাহলে তাদের কাছে আমানত রাখা কতটা নিরাপদ?

এটা ঠিক যে আরএনবিসির আমানত তোলার ওপর কোন সীমা বেঁধে দেওয়া নেই। তবুও, প্রতিটি আরএনবিসি-কে সুনিশ্চিত করতে হয় যে তাদের কাছে রক্ষিত আমানত যেন পুরোপুরি লগ্নি করা  হয় স্বীকৃত বিনিয়োগে। অন্য কথায়, আমানতকারীর স্বার্থ রক্ষার খাতিরে এই কোম্পানিগুলিকে তাদের আমানতি দায়ের ১০০% অত্যন্ত তরল(লিকুইড) এবং নিরাপদ লেখ্যে বিনিয়োগ করতে হয়, যেমন কেন্দ্রীয়/রাজ্য সরকারের সিকিউরিটিজ, তফসিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক(এসসিবি)-এর স্থায়ী আমানতে(ফিক্সড্‌ডিপোজিট), এসসিবি/এফআইসমূহের সার্টিফিকেট অফ ডিপোজিট, মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট ইত্যাদিতে।

১৩. আরএনবিসি কি আমানত বাজেয়াপ্ত করতে পারে যদি আমানতের কিস্তি নিয়মিত জমা না করা হয় বা চালিয়ে যাওয়া না হয়?

না। রেসিডুয়ারি নন্‌ব্যাঙ্কিং কোম্পানি আমানতকারীর কর্তৃক জমা দেওয়া কোন আমানত অথবা তার উপর অর্জিত কোন সুদ, প্রিমিয়াম, বোনাস অথবা অন্য কোন লাভ বাজেয়াপ্ত করতে পারে না।

১৪. কোন একটি আরএনবিসি আমানতের উপর কী হারে সুদ নেবে এবং তাদের দ্বারা গৃহীত আমানতের মেয়াদ কী হওয়া উচিত?

একটি আরএনবিসি-র এক লপ্তে অথবা মাসিক অথবা আরো দীর্ঘ সময়ের অন্তরে আমানতের উপর ন্যূনতম ৫% সুদ দেওয়া উচিত (বার্ষিক চক্রবৃদ্ধিহারে) এবং দৈনিক আমানত প্রকল্পের অধীনে জমা আমানতের উপর ৩.৫% সুদ(বার্ষিক চক্রবৃদ্ধিহারে)দেওয়া উচিত। সুদ বলতে এখানে প্রিমিয়াম, বোনাস অথবা অন্য কোন লাভ তার অন্তর্ভুক্ত করা হবে যা সেই আরএনবিসি আমানতকারীদের প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। একটি আরএনবিসি আমানত প্রাপ্তির দিন থেকে ন্যূনতম ১২ মাস এবং সর্বাধিক ৮৪ মাসের মেয়াদের জন্য আমানত গ্রহণ করতে পারে। দাবি করা মাত্র পরিশোধযোগ্য আমানত তারা গ্রহণ করতে পারে না। যাই হোক, বর্তমানে যে দুটি আরএনবিসি অস্তিত্বে আছে (পিয়ারলেস এবং সাহারা ইন্ডিয়া ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশন লিমিটেড), তাদের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আমানত গ্রহণ করতে নিষেধ করেছে এবং আমানতকারীদের তাদের আমানত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং তাদের আরএনবিসি ব্যবসা তুলে দিতে বলেছে যেহেতু তাদের ব্যবসার প্রকল্পটি বাস্তবে কার্যকর নয়।

চ. আমানতের পরিভাষা, আমানত গ্রহণ করার পক্ষে যোগ্য/অযোগ্য সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ

১৫. আমানত কী?

শেয়ার পুঁজি মাধ্যমে সংগৃহীত, অংশীদারী সংস্থার কোন অংশীদার কর্তৃক প্রদত্ত পুঁজি, জামিনযোগ্য আমানত, বায়নার জন্য আমানত, পণ্য ক্রয়, পরিষেবা অথবা নির্মাণের জন্য অগ্রিম, ব্যাঙ্ক, আর্থিক সংস্থা এবং মহাজন থেকে নেওয়া ঋণ এবং চিট ফান্ডে প্রদত্ত টাকা বাদে কোন উপায়ে সংগৃহীত অর্থ কে আমানত বলে। এইগুলি ভিন্ন অন্য যে কোন উপায়ে সংগৃহীত অর্থকে আমানত বলে।

১৬. কোন সংস্থাগুলি বৈধভাবে জনসাধারণের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করতে পারে?

সমবায় ব্যাঙ্কসহ ব্যাঙ্কগুলি আমানত গ্রহণ করতে পারে। যে সমস্ত নন্‌ব্যাঙ্ক ফাইনান্স কোম্পানি কে আরবিআই আমানত সংগ্রহ করার জন্য বিশেষ অনুমতিপত্রসহ পঞ্জীকরণের প্রমাণপত্র দিয়েছে তারা জনসাধারণের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করতে পারে। অন্য কথায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিকট নিবন্ধিত সমস্ত এনবিএফসি আমানত গ্রহণ করতে পারে না, শুধু তারাই পারে যাদের আমানত গ্রহণের জন্য পঞ্জীকরণের প্রমাণপত্র আছে। তারা কিন্তু স্বীকৃত সীমা পর্যন্তই আমানত গ্রহণ করতে পারে। হাউসিং ফিনান্স কোম্পানিজ, যাদের আবার বিশেষভাবে অধিকার দেওয়া হয়েছে আমানত গ্রহণ করার জন্য এবং কোম্পানি এ্যাক্টের অধীনে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক প্রণীত কোম্পানিজ এ্যাকসেপ্টেন্স অফ ডিপোজিট রুলস-এর অধীনে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক দ্বারা প্রাধিকৃত কোম্পানি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত আমানত গ্রহণ করতে পারে। সমবায় ঋণদান সমিতি তাদের সভ্যদের থেকে আমানত গ্রহণ করতে পারে কিন্তু জনসাধারণের কাছ থেকে নয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কেবল মাত্র ব্যাঙ্ক, সমবায় ব্যাঙ্ক এবং এনবিএফসি কর্তৃক আমানত গ্রহণের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি রাখে।

অন্যান্য সংস্থা কর্তৃক জনগণের থেকে আমানত গ্রহণের বৈধ স্বীকৃতি নেই। ব্যক্তিবিশেষ, অংশীদারী সংস্থা, এবং অন্যান্য ব্যক্তিবিশেষদের সঙ্ঘ-এর মত অনিগমিত সংস্থা কর্তৃক প্রধান ব্যবসা হিসেবে আমানত গ্রহণের ব্যবসা চালানো নিষিদ্ধ। আর্থিক ব্যবসা চালানো সত্ত্বেও এই সমস্ত অনিগমিত সংস্থা কর্তৃক আমানত গ্রহণ নিষিদ্ধ।

১৭. যে সমস্ত এনবিএফসি আরবিআই-এর কাছে পঞ্জীকৃত তারা সকলেই কি আমানত গ্রহণ করতে পারে? আরবিআই থেকে পঞ্জীকরণের প্রমাণপত্র পাওয়া মানেই কি সেই কোম্পানি আমানত সংগ্রহ করতে পারে?

না। উপরে যেমন বলা হয়েছে, আরবিআই-এর নিকট নিবন্ধনের মা্নেই এনবিএফসি স্বতই আমানত গ্রহণের অনুমতি পায় না। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিশেষভাবে কোন এনবিএফসিকে প্রাধিকৃত করে আমানত গ্রহণ করার জন্য। এই অনুমতি দেওয়া হয় পঞ্জীকৃত কোন এনবিএফসির কাজকর্মের ফলাফল তিন বছর ধরে যাচাই করার পর। একটি এনবিএফসি জনসাধারণের থেকে আমানত তুলতে পারে, এই স্বীকৃতি বিশেষভাবে উল্লেখিত হয় তার পঞ্জীকরণের প্রমাণপত্রে। বাস্তবে জন-নীতি হিসেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ১৯৭৭ সাল থেকে কেবল মাত্র ব্যাঙ্কগুলিকে জনসাধারণের থেকে আমানত গ্রহণের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং নতুন এনবিএফসিগুলিকে জনসাধারণের থেকে আমানত গ্রহণের জন্য আর পঞ্জীকরণের প্রমাণপত্র জারি করেনি।

১৮. এনবিএফসিগুলিকে জনসাধারণের থেকে আমানত সংগ্রহের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আরবিআই কেন এত বাধানিষেধ আরোপ করে?

কোন আর্থিক সংস্থার তত্ত্বাবধান করতে গিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সব থেকে বড় উদ্বেগ হল আমানতকারীর স্বার্থ রক্ষা করা। আমানতকারী কোন সংস্থায় আমানত রাখে বিশ্বাসের ভিত্তিতে, কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীর মত নয় যারা ঝুঁকি এবং আয় দুটিই উদ্যোক্তার সঙ্গে ভাগ করে নিতে রাজি থাকে। আর্থিক নিয়ন্ত্রণে তাই আমানতকারীর স্বার্থরক্ষা করা চূড়ান্ত লক্ষ্য। ব্যাঙ্কগুলি হল সর্বাধিক নিয়ন্ত্রিত আর্থিক সংস্থা। একটি ব্যাঙ্ক ফেল করলে ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স এ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন আমানতের উপর সর্বাধিক ১ লক্ষ টাকা বিমা প্রদান করে থাকে।

১৯. কোন এনবিএফসিগুলি আমানত গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে আরবিআই কর্তৃক প্রাধিকৃত?

যে সমস্ত এনবিএফসি’রআমানত গ্রহণ করার জন্য বৈধ পঞ্জীকরণের প্রমাণপত্র আছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক  তাদের তালিকা প্রকাশ করে নিজের ওয়েবসাইটে: www.rbi.org.in → সাইটম্যাপ →এনবিএফসি তালিক →আমানত-গ্রহণহেতু-স্বীকৃত এনবিএফসি তালিকা। কখনও কখনও কোন কোন কোম্পানিকে সাময়িকভাবে জনগণের থেকে আমানত গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার ওয়েবসাইটে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ এনবিএফসিগুলিরও তালিকা প্রকাশ করে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দুটি তালিকাই সময়ানুগ করে রাখে। জনসাধারণকে যে কোন এনবিএফসি’তে আমানত রাখার পূর্বে দুটি তালিকাই দেখে নিতে বলা হয়।

২০. কোন সমবায় ঋণদান সমিতি কি জনগণের থেকে আমানত গ্রহণ করতে পারে?

না। কোন সমবায় ঋণদান সমিতি জনসাধারণের থেকে আমানত গ্রহণ করতে পারে না। তারা কেবল তাদের সদস্যদের থেকে তাদের উপবিধি(বাই-লজ) দ্বারা নির্দিষ্ট সীমার ভিতরে আমানত গ্রহণ করতে পারে।

২১. কোন বেতনভুক সমিতি কি জনসাধারণের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করতে পারে?

না। এই সমিতিগুলি গঠিত হয় বেতনভুকদের জন্য এবং সেই কারণে তারা কেবল তাদের সদস্যদের থেকে আমানত গ্রহণ করতে পারে, জনসাধারণের কাছ থেকে নয়।

২২. রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কীভাবে জানতে পারে তাদের কাছে পঞ্জীকৃত নয় এমন কোম্পানি যখন অনুমতি ছাড়াই আমানত গ্রহণ করে অথবা পঞ্জীকরণের প্রমাণপত্র প্রাপ্তি ছাড়াই যখন কোন এনবিএফসি ঋণদান অথবা বিনিয়োগের কাজকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ে?

জনগণের থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ, শিল্পমহল এবং এই সমস্ত কোম্পানির বিধিবদ্ধ নিরীক্ষকের থেকে প্রাপ্ত বিশেষ প্রতিবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানতে পারে তাদের কাছে পঞ্জীকৃত নয় এমন কোম্পানি যখন অনুমতি ছাড়াই আমানত গ্রহণ করে অথবা পঞ্জীকরণের প্রমাণপত্র প্রাপ্তি ছাড়াই যখন কোন এনবিএফসি ঋণদান অথবা বিনিয়োগের কাজকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সংবাদপত্র মাধ্যমে অথবা তাদের আঞ্চলিক কার্যালয় মাধ্যমে বা অন্য কোন সূত্র দ্বারা সংগৃহীত বাজার সংক্রান্ত  তথ্য থেকেও জানতে পারে।

এছাড়াও, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের প্রত্যেকটি আঞ্চলিক কার্যালয়ে একটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা কায়েম করেছে যার সাহায্যে সমস্ত আর্থিক ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে রাজ্যস্তরীয় সমন্বয় সমিতি (এসএসসিসি)গঠন করে সমন্বয় রক্ষা করা হয়ে থাকে। এসএলসিসি’র সদস্যরা হল রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র ও আইন বিভাগের আধিকারিকগণ, কোম্পানি রেজিস্ট্রার, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের আঞ্চলিক পরিচালকমণ্ডলী, ন্যাশানল হাউসিং ব্যাঙ্ক, সেবি, রেজিস্ট্রার অফ চিট এবং আইসিএআই। আর্থিক সংস্থাগুলির এই ধরনের অবৈধ কাজকর্ম বিষয়ে তথ্য বিনিময়ের জন্য এসএলসিসি প্রতি ৬ মাস অন্তর বসে থাকে।

২৩. পঞ্জীকৃত এনবিএফসি’র  সহযোগী অথবা সহযোগী নয় এমন মালিকানাধীন/অংশীদারী সংস্থা কি জনসাধারণের থেকে আমানত গ্রহণ করতে পারে?

না। মালিকানাধীন এবং অংশীদারী সংস্থাগুলি অনিগমিত প্রতিষ্ঠান। অতএব ভারতীর রিজার্ভ আইন, ১৯৩৪-এর অধীনে তাদের জনসাধারণের থেকে আমানত গ্রহণ করা নিষিদ্ধ।

২৪. অনেক অলংকার বিপণি আছে যারা জনসাধারণের কাছ থেকে কিস্তিতে টাকা  নেয়। এটাকে কি কার্যত আমানত গ্রহণের সামিল হিসেবে ধরা যায়?

এটা নির্ভর করে ভবিষ্যতে কোনও এক দিনে অলংকারটি ডেলিভারি করার জন্য অগ্রিম হিসেবে টাকা নেওয়া হয়েছে কিনা অথবা সুদ সমেত টাকা ফেরৎ দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেওয়া হয়েছে কিনা। চুক্তির সময়ের শেষে অলংকার ডেলিভারি করার উদ্দেশ্যে অলংকার বিপণি দ্বারা কিস্তিতে টাকা নেওয়ার অর্থ আমানত গ্রহণ করা নয়। এটাকে আমানত গ্রহণ করা বলা হবে তখনই যখন গৃহীত টাকার পরিবর্তে অলংকার বিপণি সুদ সমেত মূল টাকা ফেরৎ দেবার প্রতিশ্রুতি দেয়।

২৫. কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে যদি এই ধরণের অনিগমিত সংস্থা জনসাধারণের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করে? কী হবে যদি যেসব এনবিএফসি জনসাধারণের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করার জন্য প্রাধিকৃত নয় তারা  তাদের প্রোমোটার কর্তৃক বাজারে ছাড়া মালিকানাযুক্ত/অংশীদারী কারবার ব্যবহার করে আমানত গ্রহণ করে?

এই ধরণের অনিগমিত সংস্থা, যদি দেখা যায় জনসাধারণের আমানত সংগ্রহ করছে, ফৌজদারী দণ্ডবিধির অধীনে আইনত দায়ী থাকবে। অধিকন্তু আরবিআই এনবিএফসিগুলিকে কোনও অনিগমিত সংস্থার সঙ্গে জড়িত হতেও নিষেধ করে।  আরবিআই আইনের বিরোধিতা করে যেসব এনবিএফসি আমানত সংগ্রহকারী মালিকানাযুক্ত/অংশীদারী কারবারের সঙ্গে যুক্ত হবে তারা ফৌজদারী আইনের অধীনে অথবা যদি রাজ্য সরকার (আর্থিক প্রতিষ্ঠানে) আমানতকারীদের স্বার্থরক্ষা আইন পাস করে থাকে তার অধীনে আইনত দণ্ডনীয় হবে।

২৬. কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে যদি কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, তাদের প্রধান ব্যবসা হিসেবে ঋণ দেয় অথবা বিনিয়োগ করে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে কোনও পঞ্জীকরণের প্রমাণপত্র (সার্টিফিকেট অফ রেজিস্ট্রেশন) না নিয়ে থাকে?

যেসব কোম্পানি এনবিএফসি হিসেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে পঞ্জীকৃত হয়নি তাদের প্রধান ব্যবসা হিসেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে পঞ্জীকরণের আবেদন না করেই নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক কাজকর্ম যেমন ঋণ দেওয়া, বিনিয়োগ করা অথবা আমানত গ্রহণ করা চালাতে দেখা যায়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের ওপর জরিমানা বা দণ্ড ধার্য করতে পারে অথবা আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারে। যদি জনসাধারণ এমন কোনও সংস্থার সংস্পর্শে আসেন যে সংস্থা নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক কাজকর্ম করছে অথচ আরবিআই-এর ওয়েবসাইটে প্রাধিকৃত এনবিএফসির তালিকায় অবস্থিত নয়, তাঁদের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের  নিকটবর্তী আঞ্চলিক কার্যালয়ে জানাতে হবে  আরবিআই অ্যাক্ট, ১৯৩৪-এর ধারা লঙ্ঘণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে।

২৭. এনবিএফসিরা তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে উচ্চ হারে সুদ আদায় করে। গ্রাহকদের কাছে এনবিএফসি কর্তৃক দাবি করা সুদের হারের কী সীমা আছে?

 ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক (এনবিএফসি এবং মাইক্রো ফিনান্স প্রতিষ্ঠান ব্যতীত) ধার্য গ্রাহকদের প্রদেয় সুদের ওপর নিয়ন্ত্রণ তুলে নিয়েছে। কোম্পানি কর্তৃক ধার্য সুদের হার ঋণ গ্রহীতা এবং এনবিএফসির মধ্যে ঋণ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হয়। যাইহোক, এনবিএফসিগুলিকে স্বচ্ছ হতে হবে এবং সুদের হার ও বিভিন্ন বর্গের ঋণগ্রহীতাগণের সুদের হারে পৌঁছনোর পদ্ধতি ঋণগ্রহীতা বা গ্রাহকের কাছে প্রকাশ করতে হবে আবেদনপত্রে এবং বিশদভাবে জানাতে হবে অনুমোদন পত্র ইত্যাদিতে।

২৮. কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই মর্মে ভুয়ো দাবি করে এমন ব্যক্তি/আর্থিক কোম্পানির বিরুদ্ধে?

জনসাধারণকে ভুল বুঝিয়ে আমানত সংগ্রহে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই মর্মে মিথ্যা দাবি করা যে কোনও আর্থিক সংস্থা বা অনিগমিত সংস্থার পক্ষে বেআইনি এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার উপযোগী। এই সম্পর্কিত তথ্যসমূহ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিকটতম কার্যালয়ে এবং পুলিশের কাছে পাঠাতে হবে।

২৯. চিট ফাণ্ড কর্তৃক অর্থ গ্রহণ এবং আমানত গ্রহণের মধ্যে পার্থক্য কী?

আরবিআই অ্যাক্ট ১৯৩৪-এর অধীনে আমানতের সংজ্ঞা দেওয়া আছে গৃহীত অর্থ হিসেবে, ছাড় থাকবে শেয়ার মূলধনের মাধ্যমে তোলা টাকা এবং ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত টাকা, সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসেবে প্রাপ্ত অর্থ, পণ্য ও পরিষেবার জন্য অগ্রিম এবং বায়নার টাকা এবং চিটের চাঁদা বাদে অর্থ গ্রহণ করা। অপর সমস্ত রাশি, ঋণ অথবা অন্য কোনও আকারে প্রাপ্ত, আমানত

হিসেবে গণ্য হবে। চিট ফাণ্ডের কাজকর্ম চলে চিটের চাঁদা হিসেবে কিস্তিতে সদস্যদের অনুদান নিয়ে এবং পর্যায়ক্রমে চিটের প্রত্যেক সদস্য চিটের টাকাটা পাবেন। আমানতের সংজ্ঞা থেকে চিটের চাঁদা বিশেষভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং তাকে আমানত বলতে পারা যাবে না। যদিও চিট ফাণ্ড উপরের মত চাঁদা সংগ্রহ করতে পারে কিন্তু, তারা আরবিআই কর্তৃক আগস্ট ২০০৯ থেকে আমানত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ।

৩০. ঋণ দেওয়া এবং বিনিয়োগের কাজে নিয়োজিত পঞ্জীকৃত আমানত-না-নেওয়া এনবিএফসির তালিকা কোথায় দেখতে পাওয়া যাবে?

 আমানত-না-নেওয়া এনবিএফসি, যাদের বৈধ সার্টিফিকেট অফ রেজিস্ট্রেশন আছে এবং যারা ঋণ দিতে পারে এবং বিনিয়োগ করতে পারে তাদের তালিকা আরবিআই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবেঃ www.rbi.org.in--Sitemap--NBFC List—List  of NBFCs not accepting public deposits.

ছ. আমানতকারীদের সুরক্ষা বিষয়

৩১. কোনও এনবিএফসি-তে আমানত রাখার আগে আমানতকারী কী সতর্কতা গ্রহণ করবে?

ক. আমানত রাখার আগে এনবিএফসি-তে আমানত রাখতে ইচ্ছুক আমানতকারী অবশ্যই নিম্নলিখিতগুলি নিশ্চিত করবেনঃ

  1. উক্ত এনবিএফসি আরবিআইতে পঞ্জীকৃত এবং আরবিআই কর্তৃক আমানত গ্রহণে বিশেষভাবে প্রাধিকৃত।  আমানত গ্রহণের ক্ষেত্রে যোগ্য আমানত-গ্রহণকারী-এনবিএফসির তালিকা পাওয়া যাবে www.rbi.org.in--Sitemap--NBFC List-এ। আমানতকারীরা জনগণের-আমানত-গ্রহণ-করতে-অনুমতিপ্রাপ্ত এনবিএফসির  তালিকাটি অবশ্যই পরীক্ষা করে নেবেন এবং দেখবেন যেন তা আমানত গ্রহণে বাধাপ্রাপ্ত কোম্পানির তালিকায় না থাকে, যা পাওয়া যাবে www.rbi.org.in--Sitemap--NBFC List-NBFCs, যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাত্মক আদেশ জারি করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে চ্যাপ্টার IIIB, IIIC –এর অধীনে ব্যবসা বন্ধের পিটিশন ফাইল করা হয়েছে এবং মামলা করা হয়েছে।

  2. এনবিএফসিগুলিকে তাদের সাইটে আর.বি.আই-এর নিকট প্রাপ্ত সার্টিফিকেট অফ রেজিস্ট্রেসন (সি.ও.আর) সুস্পষ্টভাবে প্রদর্শন করতে হবে। এই সার্টিফিকেটটিতে ওই এনবিএফসিটি আর.বি.আই কতৃক আমানত গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে প্রাধিকৃত এই স্বীকৃতিটি প্রতীয়মান হতে হবে। বিনিয়োগকারিগণ অবশ্যই সার্টিফিকেটটি খুঁটিয়ে দেখবে যাতে ওই এনবিএফসিটি আমানত গ্রহণের জন্য অনুমোদিত কিনা জানা যাবে।

  3. আমানতকারীকে এনবিএফসিগুলি সুদের হার সর্বোচ্চ ১২.৫% -এর বেশি দিতে পারবে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সার্বিক অর্থনৈতিক পরিবেশের কথা মাথায় রেখে মাঝে মাঝে সুদের হার বদল করে দেয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের সাইট www.rbi.org.in--Sitemap--NBFC List-> FAQs -তে এই সুদের হারের পরিবর্তন প্রকাশ করে।

  4. বিনিয়োগকারী তার প্রতিটি বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত রসিদ কোম্পানির নিকট থেকে নেওয়ার জন্য জোর দেবে। রসিদটি কোম্পানির প্রাধিকৃত আধিকারিক কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে এবং  বিনিয়োগের তারিখ, বিনিয়োগকারীর নাম, অঙ্কে ও শব্দে জমা রাশির পরিমাণ, প্রদেয় সুদের হার এবং মেয়াদপূরণে প্রাপ্ত রাশির পরিমাণ ও মেয়াদপূর্তির তারিখের উল্লেখ থাকবে।

*৩২। নিজেদের আগাম সতর্ক করার জন্য জনসাধারণকে কী ধরণের সাবধানতা নিতে হবে এমন প্রকল্প সম্বন্ধে যাতে অর্থ ক্ষতির সম্ভাবনা আছে এবং যা উচ্চ হারে সুদ প্রদান করে?

উচ্চ হারে ফেরতের প্রতিশ্রুতি সম্পন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগের আগে বিনিয়োগকারী অবশ্যই নিশ্চিত হবেন যে ওইরূপ ফেরৎ প্রদান করে যে সংস্থা তা আর্থিক ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রকগুলির কোনটির কাছে পঞ্জীকৃত এবং আমানত হিসেবে অথবা অন্যভাবে তহবিল গ্রহণ করার জন্য প্রাধিকৃ্ত কিনা? সাধারণভাবে বিনিয়োগকারীদের সার্বিক সতর্ক হতে হবে যদি সুদের হার অথবা বিনিয়োগের ওপর প্রস্তাবিত ফেরতের হার উচ্চ হয়। যদি তহবিল গ্রহণকারী সংস্থা যে প্রতিশ্রুতি দেয় তার  চেয়ে বেশি আয় না করে, সংস্থাটি প্রতিশ্রুতি মত বিনিয়োগকারীদের অর্থ প্রদান করতে সমর্থ হবে না। উচ্চতর আয় উপার্জন করার জন্য সংস্থাটিকে উচ্চতর ঝুঁকি নিতে হবে বিনিয়োগ করতে গিয়ে। ঝুঁকি যত বেশি, বিনিয়োগের ওপর ফাটকা তত বেশি, যে বিনিয়োগে কোনও নিশ্চিত ফেরত আসতে পারে না। সেইজন্য জনসাধারণকে নিজেদের-কেই আগাম সাবধান করতে হবে যে, যে প্রকল্পে সুদের হার বেশি সেখানে অর্থ ক্ষতির সম্ভাবনাও বেশি।

৩৩। এনবিএফসি  কতৃক সংগৃহীত আমানতের পরিশোধের জন্য কী আরবিআই গ্যারান্টি দেয়?

না, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এনবিএফসি কতৃক গৃহীত আমানতের পরিশোধ বিষয়ে কোনও গ্যারান্টি দেয় না, যদিও তারা আমানত জমা করার জন্য প্রাধিকৃ্ত। সেইজন্য বিনিয়োগকারী এবং আমানতকারী – উভয়েরই তথ্যসাপেক্ষ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যখন কোনও এনবিএফসি তে আমানত রাখবেন।

৩৪. একজন আমানতকারী কী ব্যবস্থা নিতে পারেন যখন কোনও এনবিএফসি মূল আমানত এবং তার ওপর সুদ ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়?

যদি কোনও আরবিআই –এর কাছে পঞ্জীকৃত এনবিএফসি আমানতকারীর অর্থ না ফেরত দিতে পারে, তাহলে আমানতকারী এনবিএফসির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিকটতম আঞ্চলিক কার্যালয়ে। আমানতকারীরা তাদের টাকা উদ্ধারের জন্য কোম্পানি ল বোর্ডের কাছেও যেতে পারেন অথবা সিভিল কোর্টে অথবা কনজিউমার ডিসপিউটস রিড্রেসাল ফোরাম – এও যেতে পারেন। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি রাজ্য পুলিশ অধিকর্তা / রাজ্য পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখাতেও অভিযোগ করতে পারেন। কোনও কোনও রাজ্য আমানতকারীর স্বার্থরক্ষা (আর্থিক সংস্থায়) আইন পাস করিয়েছেন, যা রাজ্যগুলিকে ওইরূপ সংস্থাগুলির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার এবং তার বিক্রয়লব্ধ অর্থ আমানতকারীদের মধ্যে বন্টন করে দেবার ক্ষমতা দিয়েছে।

৩৫। অব্যহতি প্রাপ্ত বর্গের এনবিএফসি আমানত গ্রহণ / ধরে রাখতে পারে কী?

না। আরবিআই আইনের ধারা অথবা তার নির্দেশিকা থেকে অব্যহতি প্রাপ্ত এনবিএফসি জনসাধারণের কাছ থেকে আমানত ধরে রাখতে/ গ্রহণ করতে পারে না। কারণ আমানত ধরে না রাখা / গ্রহণ না করা তাদের ওইরকম অব্যহতি মঞ্জুর করার অন্যতম শর্ত। এইচএফসি আমানত গ্রহণ করতে পারে এনএইচবি যতটুকু অনুমতি দেয় ততদূর পর্যন্ত।

৩৬। এনবিএফসি আমানতকারীদের স্বার্থরক্ষায় আরবিআই কী করে?

আমানত সংগ্রহের পরিমাণ সমেত আমানত গ্রহণ, বাধ্যতামূলক ক্রেডিট রেটিং, আমানতকারীদের পরিশোধ করার জন্য বাধ্যতামূলক নগদ সম্পদ রক্ষা করা, আমানত খাতা রাখার পদ্ধতি, প্রুডেন্সীয়াল রেগুলেশন যেমন পর্যাপ্ত মূলধন বজায় রাখা, এক্সপোজারের সীমা এবং এনবিএফসি গুলিতে পরিদর্শন ইত্যাদি ছাড়াও এনবিএফসি গুলি ভালভাবে চলছে তা সুনিশ্চিত করে আরবিআই বিশদ রেগুলেশন জারি করেছে। যদি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এনবিএফসি পরিদর্শন বা অডিট করে অথবা অভিযোগ বা বাজার থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে দেখে যে, কোন এনবিএফসি, আরবিআই নির্দেশিকা পালন করছে না, তাহলে আরবিআই উক্ত এনবিএফসি কে আর আমানত গ্রহণ করাতে এবং তার সম্পদ বিক্রি করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। উপরোন্তু যদি আমানতকারী কোম্পানি ল বোর্ডের (সিএলবি) কাছে অভিযোগ পেশ করেন এবং সিএলবি পরিশোধ করার আদেশ দেয় এবং এনবিএফসি সিএলবি – র আদেশ পালন না করে, আরবিআই এনবিএফসি র বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করতে পারে, এমন কি ফৌজদারী মামলাও এবং কোম্পানির ব্যবসা করা বন্ধ করে দিতে পারে।

আরও গুরুত্বপূর্ণ, মার্কেট ইনটেলিজেন্স রিপোর্ট, অভিযোগ, কোম্পানির বিধিবদ্ধ নিরীক্ষকদের বিশেষ রিপোর্ট, এসএলসিসি মিটিং এ প্রাপ্ত তথ্যাবলি ইত্যাদির ভিত্তিতে যে সব কোম্পানিকে দেখা যায় আরবিআই নির্দেশিকা / বিধি লঙ্ঘন করতে তাদের বিরুদ্ধে আরবিআই অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করে শাস্তিবিধান করে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অবিলম্বে এই তথ্য রাজ্যস্তরীয় সমন্বয় সমিতির বৈঠকে অন্যান্য আর্থিক নিয়ন্ত্রক এবং বলবৎকারী এজেন্সিদের সঙ্গে বিনিময় করে।

প্রধান সরকারি নীতি প্রতিষ্ঠান হিসেবে, সরকারি নীতি নিরীক্ষণের অংশ হিসেবে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সাধারণ জনগনের মধ্যে তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগের সময়ে সতর্ক থাকার প্রয়োজনে সচেতনতা তৈ্রি করতে কতিপয় উদ্যোগ নিতে অগ্রনী হয়েছে। উদ্যোগগুলির মধ্যে পড়ে মুদ্রণ মাধ্যমে সতর্কতামূলক নোটিশ জারি করা এবং তথ্যমূলক এবং শিক্ষামূলক ইস্তাহার / পুস্তিকা বিতরণ এবং সচেতনা/বহির্প্রসারী প্রোগ্রাম চলাকালীন জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ গড়ে তোলা, টাউনহল অনুষ্ঠান, রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বাণিজ্য মেলা এবং প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ। কখনও কখনও, বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রগুলিকেও (ইংরাজি ও আঞ্চলিক ভাষায়) অনুরোধ করা হয় আমানত সংগ্রহে অনিয়মিত সংস্থার দেওয়া বিজ্ঞাপন প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে।

৩৭. রাজ্য সরকার কর্তৃক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতকারীদের স্বার্থরক্ষার জন্য আইন করার উদ্দেশ্য কী?

আমানতকারীদের স্বার্থরক্ষা করাই এই আইনটি জারি করার উদ্দেশ্য। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আইন-এর ধারাগুলি আরবিআই-কে প্রুডেন্সিয়াল রেগুলেশন জারি করতে সমর্থ করে যাতে আর্থিক সংস্তাগুলি ভালোভাবে চলে। আরবিআই একটি দেওয়ানি সংস্থা এবং আরবিআই আইন একটি দেওয়ানি আইন। উভয়েরই হাতে বিশেষ কোন ধারা নেই যার বলে ঋণ পরিশোধে অক্ষম কোম্পানির, সংস্থার, বা তাদের অধিকর্তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে এবং বিক্রি করে ক্ষতিপূরণ করা যায়। এক মাত্র রাজ্য সরকারেরই সংগঠিত ব্যবস্থা আছে এটা কার্যকরীভাবে করার জন্য। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতকারীদের স্বার্থরক্ষা আইন রাজ্য সরকারকে যথেষ্ট ক্ষমতা দিয়েছে অভিযুক্ত কোম্পানি, সংস্থা

এবং তাদের অধিকর্তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে এবং বিক্রি করতে।

৩৮. রাজ্য সরকার কর্তৃক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতকারীর স্বার্থ নিরাপত্তা আইন বলবৎ হলে কি তা অনিগমিত সংস্থা ও কোম্পানিগুলি দ্বারা অননুমোদিত আমানত সংগ্রহ রোধ করায় সাহায্য করবে?

হ্যাঁ, অনেকটাই। এই আইন বিভিন্ন অপরাধ, যেমন কোন সংস্থা অথবা কোম্পানি কর্তৃক অননুমোদিত আমানত সংগ্রহকে আদালতযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করে, অর্থাৎ যে সমস্ত সংস্থা অননুমোদিত আমানত সংগ্রহ অথবা বে-আইনি আর্থিক কাজকর্মের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করেছে তাদের অবিলম্বে কারাগারে পাঠানো যায় এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যায়। এই আইনের অধীনে রাজ্য সরকারকে প্রভূত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যাতে তারা এই ধরনের সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে, বিশেষ আদালতের আদেশের অধীনে সেগুলি বিক্রি করতে পারে এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ আমানতকারীদের মধ্যে ভাগ করে দিতে পারে। রাজ্য সরকার/ রাজ্য পুলিস প্রশাসন অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে সর্বাধিক উপযুক্ত ব্যবস্থা। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, অতঃপর সমস্ত রাজ্য সরকারগুলিকে অনুরোধ করছে তারা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতকারীর স্বার্থ নিরাপত্তা আইন বলবৎ করুন। আজকের তারিখে ষোলটি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল এই আইন গ্রহণ করেছেন। এই রাজ্যগুলি হল অন্ধ্র প্রদেশ, অসম, বিহার, গোয়া, গুজরাত, হিমাচল প্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মিজোরাম, নিউ দিল্লি, তামিলনাডু, ত্রিপুরা, উত্তরাঞ্চল, সিকিম, মেঘালয়, জম্মু কাশ্মীর এবং চন্ডিগড় প্রশাসন। আমানতকারীদের স্বার্থ নিরাপত্তার জন্য কয়েকটি রাজ্য সরকার এই আইন সফলভাবে প্রয়োগ করেছে।

৩৯. ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কি কোন অভিযোগ নিরসন ব্যবস্থা আছে?

যদি কোন এনবিএফসি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অসন্তোষ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিকটতম কার্যালয়ে দায়ের করা হয়, সেটি সংশ্লিষ্ট এনবিএফসি-র সঙ্গে অসন্তোষ/অভিযোগ নিরসনের জন্য গ্রহণ করা হবে।
৪০. কিন্তু তা সত্ত্বেও বারবার ভূয়ো আর্থিক সংস্থা দ্বারা জনসাধারণের প্রতারিত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কী পরিকল্পনা করছে অননুমোদিত আমানত গ্রহণ / অননুমোদিত এনবিএফআই-এর ব্যবসা পরিচালনকারী কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে নজরদারি শক্তিশালী করার জন্য?

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার বিভিন্ন আঞ্চলিক কার্যালয়ে বাজার থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ আরও শক্তিশালী করছে এবং অবিরাম বাজার থেকে প্রাপ্ত তথ্য অথবা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিকট অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানিগুলির আর্থিক লেনদেন পরীক্ষা করছে। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষ অনেকখানি সাহায্য করতে পারে যদি তারা সজাগ থাকে এবং তাদের নজরে কোন আর্থিক সংস্থা আর.বি.আই অ্যাক্ট লঙ্ঘন করছে দেখলেই অবিলাম্বে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। যেমন কোন সংস্থা বা ব্যাক্তিবিশেষ অননুমোদিতভাবে গ্রাহক আমানত সংগ্রহ করে অথবা বিনা অনুমতিতে এন.বি.এফ.সি কার্যকলাপ চালায় তবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যাবে। তদুপরি, যদি জনসাধারণ একটু বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সংস্থার কার্যকলাপ বিচার করে দেখে তবে ওগুলি এই ধরণের ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে না। জনসাধারণের জানা উচিত যে কোন বিনিয়োগে অস্বাভাবিক অধিক ফেরতমূল্য (রি্টার্ন) পাওয়া গেলে তাতে ঝুঁকির সম্ভাবনা ও অনেক বেশি থাকে। ফাটকা কারবারে কখনই কোন সুনিশ্চিত ফেরতমূল্য আশা করা উচিত নয়। বিনিয়োগের আগে জনসাধারণের দেখতে হবে যে তারা যে সংস্থায় তাকা বিনিয়োগ করছে সেটি যেন অর্থমন্ত্রক নিয়োজিত কোন নিয়ন্ত্রক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

ঝ. কালেক্টিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিম (সি.আই.এস)এবং চিট ফান্ড

৪১. সি.আই.এস কি আর.বি.আই দ্বারা নিয়ন্ত্রিত?

না। (সি.আই.এস) হল এমন স্কিম যেখানে অর্থের বিনিময়ে ইউনিট কেনা যায়। যেমন রিসর্টে সময় কাটানো অথবা কাঠ বিক্রি করে মুনাফা করা অথবা উন্নততর বাণিজ্যিক প্লট বা গৃহসমূহের থেকে মুনাফা করা ইত্যাদি। সি.আই.এস রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রনের আওতায় পড়ে না।

৪২. কালেক্টিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিম (সি.আই.এস) কোন নিয়ন্ত্রক নিয়ন্ত্রণ করে?

সেবি সি.আই স্কিমের নিয়ন্ত্রক। এই সকল স্কিমের সম্বন্ধে কোন তথ্য বা কোন অভিযোগ থাকলে তা অবিলম্বে সেবি বা ইওডব্লু বা রাজ্য পুলিশ কে জানাতে হবে।

৪৩. চিট ফান্ড ব্যবসা কি আইনত স্বীকৃত?

চিট ফান্ড এ্যাক্ট ১৯৮২ নামক একটি কেন্দ্রীয় আইন দ্বারা চিট ফান্ডগুলি নিয়ন্ত্রিত হয়, যেটি রাজ্য সরকার প্রয়োগ করে। যে চিট ফান্ডগুলি এই আইন অনুযায়ী নিবন্ধীকৃত সেগুলি চিট ফান্ডের ব্যবসা আইনত চালাতে পারবে।

৪৪. চিট ফান্ড সংস্থাগুলি যদি আর্থিক সংস্থা হয় তবে সেগুলি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় না কেন?

চিট ফান্ড কোম্পানিগুলি চিট ফান্ড এ্যাক্ট, ১৯৮২ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, যেটি একটি কেন্দ্রীয় আইন এবং রাজ্য সরকারগুলি যেটি লাগু করতে পারে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০০৯ সালে চিট ফান্ডগুলিকে জনসাধারণের থেকে আমানত গ্রহণ করতে নিষেধ করে। যদি কোন চিট ফান্ড জনসাধারণের থেকে আমানত গ্রহণ করে তবে আরবিআই সেই চিট ফান্ডের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারে।
অর্থ পরিচলন/বহুস্তরীয় বিপণন (এম.এল.এম)/পঞ্জি স্কিম/ অনিগমিত সংস্থা(ইউ.আই.বি)

৪৫. অর্থ পরিচলন/পঞ্জি স্কিম/বহুস্তরীয় বিপণন কি?

অর্থ পরিচলন/বহুস্তরীয় বিপণন/ বিপণন –শৃংখল (চেন মারকেটিং) অথবা পঞ্জি স্কিম হল সেই ধরনের স্কিম যে গুলি তার তালিকাভুক্ত সদস্যদের সহজলভ্য অর্থ লাভের আশ্বাস দেয়।বহুস্তরীয় বিপণন বা পিরামিড আকৃতির স্কিমগুলির আয়(ইনকাম) তার উৎপাদিত সামগ্রীর বিক্রয় অপেক্ষা সদস্যদের দেওয়া অত্যধিক চাঁদার উপর বেশি নির্ভর করে।তদুপরি প্রতিটি সদস্যের উপর আরও বেশি সংখ্যক সদস্য কোম্পানির তালিকাভুক্ত করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। সেই চাঁদার টাকা পিরামিডের উপরিস্তরের সদস্যদের মধ্যে বন্টিত হয়।বিপণন-শৃংখলের কোনও স্তরে বিপর্যয়, সমপূর্ণ পিরামিডে ধ্বস নামায় এবং নীচের তলার সদস্যরা এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।পঞ্জি স্কিমে সাধারণ মানুষ কে অধিক মুল্য ফেরতের আশ্বাসে প্রচুর অর্থ লগ্নি করতে প্রলুব্ধ করা হয়। কিন্ত এই ধরনের স্কিমে কোন বাস্তব সম্পদ উৎপাদিত হয়না,কেবল মাত্র এক গ্রাহকের নিয়োজিত অর্থ অন্য গ্রাহককে ফেরতমুল্য হিসাবে দেওয়া হয়। যেহেতু ফেরত মুল্য প্রদানের জন্য কোন বিশেষ কর্ম পদ্ধতি নেওয়া হয়না এই ধরনের স্কিমগুলি অবাস্তব।পরিচালন মণ্ডলীর পক্ষে আশ্বাসিত ফেরত মুল্য (রিটার্ন)এবং গৃহীত মূল অর্থ(প্রিন্সিপাল)প্রদান করা অসম্ভব হয়ে পরে।ফলে স্কিম গুলি ব্যর্থ হয় এবং মালিক সম্পূর্ণ অর্থ আত্মসাৎ করে অন্তর্হিত হয়।

৪৬. অর্থ পরিচলন/বহুস্তরীয় বিপণন/পিরামিড আকৃতির স্কিমগুলির এই ধরনের অর্থ আদায় কি অনুমোদনীয়?

না। কারণ ‘প্রাইজ চিট অ্যান্ড মানি সার্কুলেশন (ব্যানিং)আইন ১৯৭৮ অনুযায়ী উপরে লিখিত স্কিম গুলির এই প্রকার অর্থ আদায় এক ধরণের গ্রাহ্য অপরাধ।

৪৭.  ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক কি অর্থ পরিচলন/পঞ্জি স্কিম/বহুস্তরীয় বিপণন/পিরামিড আকৃতির স্কিমগুলি নিয়ন্ত্রণ করে?

না। কারণ ‘প্রাইজ চিট অ্যান্ড মানি সার্কুলেসন (ব্যানিং) আইন ১৯৭৮ অনুযায়ী প্রাইজ চিট এবং অর্থ পরিচলন স্কিমগুলি নিষিদ্ধ্ব। এই আইন লাগু করার ক্ষেত্রে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের কোন ভুমিকা নেই, তারা কেবল নিয়মাবলী প্রণয়ন করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার কে উপদেশ দেওয়া ও সাহায্য করতে পারে।

৪৮.  তবে কে এই সকল সংস্থা যারা এই সমস্ত স্কিম চালায় তাদের নিয়ন্ত্রণ করে?

‘প্রাইজ চিট অ্যান্ড মানি সার্কুলেশন (ব্যানিং)আইন ১৯৭৮ অনুযায়ী অর্থ পরিচলন/বহুস্তরীয় বিপণন/পিরামিড আকৃতির স্কিমগুলি বে-আইনি কাজ। এই আইন কোন ব্যাক্তি বা ব্যাক্তিবিশেষ কে এই ধরণের কোন চিট ফাণ্ড-এর প্রচার বা পরিচালন, সদস্য হওয়া, এবং এই চিট ও প্রকল্পের জন্য  অর্থ গ্রহণ করা বা অর্থ প্রেরণ করতে নিষেধ করে। এই আইনের বিধিগুলির লঙ্ঘনের উপর রাজ্য সরকার বিশেষ ভাবে নজরদারি রাখে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

৪৯. তৎস্বত্বেও যদি কেউ এই স্কিম চালায়, তবে কি হবে?

এই সকল স্কিম সংক্রান্ত যে কোন ধরণের তথ্য বা অভিযোগ রাজ্য সরকারের পুলিশ/ইকনমিক অফেন্স উইং(ই.অ.উ)বা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রককে অবহিত করতে হবে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক- এর নজরে এলে তা রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর কে জানানো হবে।

৫০.  অভিযোগের ক্ষেত্রে আমানতকারি/বিনিয়গকারি কার কাছে যাবে?

সংযোজনী ১ এবং ২-তে নিবদ্ধ্ব চার্ট দুটি এই ধরণের কার্যকলাপ এবং তার নিয়ন্ত্রক কে বিধৃত করে। সেই অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক কে জানানো যেতে পারে। যদি কার্যটি নিষিদ্ধ পর্যায়ভুক্ত হয় তবে ক্ষুব্ধ ব্যাক্তি রাজ্য সরকারের পুলিশ/ইকনমিক অফেন্স উইং(ই.অ.উ)বা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকে অভিযোগ করতে পারেন।

৫১.  অনিগমিত সংস্থা (ইউ.আই.বি) আমানত গ্রহণ করলে কে ব্যবস্থা নেবে?

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক আইন এর ধারা ৪৫(টি) অনুযায়ী আরবিআই এবাং রাজ্য সরকার যুগ্মভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবে। উপরন্তু, অপরাধীর বিরুদ্ধে আশু ব্যবস্থা নিতে হলে বিষয়টি তৎক্ষ্ণণাৎ রাজ্য পুলিশ বা সেই রাজ্যের ইকনমিক অফেন্স উইং কে জানাতে হবে যাতে তারা দ্রুত এবং সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারে। যেহেতু রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাদি সুবিস্তৃত এবং রাজ্য সরকার আরবিআই এ্যাক্ট ১৯৩৪ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সক্ষম, বে-আইনি আমানত গ্রহণ সংক্রান্ত যে  কোন খবর সেই রাজ্যের পুলিশ দফতর বা ইওডব্লুকে জানাতে হবে।

অনেক রাজ্যই বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাজ্য আমানতকারীদের স্বার্থরক্ষা আইন লাগু করেছে এবং সেই অনুযায়ী তাদের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা আছে।

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক আইন ১৯৩৪ এর ধারা ৪৫(এস) অনুযায়ী যদি কোন অনিগমিত সংস্থা, ব্যাক্তিবিশেষ বা অনিগমিত ব্যাক্তিবিশেষের সঙ্ঘ আমানত গ্রহণ করে বা আর্থিক লেনদেনকে তাদের প্রধান ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করে তবে তা নিষিদ্ধ বলে গণ্য হবে। অনিগমিত সংস্থা গুলি আমানত গ্রহণ করলে কারাদন্ড বা আর্থিক জরিমানা অথবা উভয় প্রকার সাজাই হতে পারে।

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক আইন ১৯৩৪ আরবিআই এবং রাজ্য সরকারকে আদালত  থেকে ইউ.আই.বির আমানত গ্রহণ সংক্রান্ত তদন্ত চালানোর জন্য তল্লাশি পরোয়ানা সংগ্রহ করার যুগ্ম অধিকার দিয়েছে।

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের বা রাজ্য সরকারের একজন প্রাধিকৃত আধিকারিক অনিগমিত সংস্থা বা ব্যাক্তিবিশেষের এই বে-আইনি কাজের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।


সংযোজনী-১

চার্ট-১

1

এনবিএফসি এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যারা ঋণদান অথবা বিনিয়োগ করে থাকে অথবা কোন প্রকল্প অথবা বন্দোবস্তের অধীনে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে কিন্তু তাদের অন্তর্ভুক্ত এমন কোন সংস্থা হবে না যাদের প্রধান ব্যবসা কৃষি কর্ম, শিল্প সংশ্লিষ্ট কাজকর্ম, বাণিজ্য এবং স্থাবর সম্পত্তির কেনা বেচা। যদি কোন কোম্পানির প্রধান ব্যবসা হয় আমানত গ্রহণের ব্যবসা তবে সেটিও একটি এনবিএফসি।

চার্ট - ২

2
 
  © ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক দ্বারা সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত

1024 x 768 রেজ়োলিউশনে IE5 বা তার চেয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্রাউজ়ার সফটওয়ার দিয়ে সবচেয়ে থেকে ভাল দেখা যাবে।